পলাশ-শিমুলের অপরূপ সাজে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ

ওমর ফারুক হিরো •

জেলায় পাহাড় আর সাগরের কোল ঘেঁষা মেরিন ড্রাইভের দুই পাশ ফাগুনে অপরূপ সাজে সেজেছে। শোভা পাচ্ছে নানা রঙের বাহারি ফুলে। গাছে গাছে রঙ ছড়াচ্ছে পলাশ ও শিমুল ফুল। প্রকৃতির এমন রূপ দেখতে করোনার মাঝেও ছুটে আসছেন পর্যটকরা।

এদিকে প্রকৃতিক এই সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে বন বিভাগ ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ৮০ কিলোমিটারের এই সড়কে রোপন করা হয়েছে ২০ হাজারের অধিক শোভাবর্ধনকারী গাছের চারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফাল্গুনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের প্রকৃতি সেজেছে নিজের মতো করে। একপাশে সবুজের সমারোহ নিয়ে উঁচু পাহাড়, আরেক পাশে সমুদ্র। দুই পাশের সারি সারি পলাশ ও শিমুল গাছে ফুটেছে বাহারি রঙের ফুল। মাঝে মাঝে আমের মুকুল ও নানা রঙের ফুল শোভা বাড়িয়েছে বহু গুণ। এদিকে করোনার মাঝেও পর্যটকে মুখরিত দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতসহ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। প্রকৃতির এই রূপে মুগ্ধ বেড়াতে আসা পর্যটকরা।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পিংকী চৌধুরী নামে এক পর্যকট জানান, মেরিন ড্রাইভের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তাকে মুগ্ধ করেছে। করোনার আগে তিনি একাধিকবার কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিলেন। এবারেও ফাল্গুন উপলক্ষে স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। এই পর্যটন নগরীর সৌন্দর্য্য যেন ফাল্গুনের আনন্দ পরিপূর্ণ করে দিল।

সাইমা সুলতানা নামে আরেক পর্যটক বলেন, ‘করোনা কিংবা অন্যকিছু কখনো ভালবাসাকে আটকাতে পারে না। তাই ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে স্বামীকে নিয়ে এই শহরে বেড়াতে আসা।’
রায়হান চৌধুরী নামে আরেক পর্যটক জানান, তার সকল ভালবাসা এখন পরিবারের সঙ্গে। তাই এই করোনাকালে পরিবারের নিরাপত্তা আগে। পরিবার নিয়েই তার কাটবে সুন্দর আগামী।

প্রকৃতির এই সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিমহিত করবে পর্যটকদের এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ সড়কে ২০১২-১৩ অর্থবছরে সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য ১০ হাজার চারা রোপন করা হয়। পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচুড়া, রাধাচুড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির এসব গাছে ফুল ফুটে সড়কটি ফুলে ফুলে সুশোভিত হয়েছে। এছাড়াও গত অর্থ বছরে ৮০ কিলোমিটার এ সড়কে আরও ১০ হাজার শোভাবর্ধনকারী চারা রোপন করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

ফাল্গুন নিয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘এই ফাল্গুনে প্রকৃতির মনে রঙ লেগেছে। সেজেছে আপন মনে। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য্য রক্ষার্থে মানুষের মনেও রঙ লাগা প্রয়োজন।’